২৫ ম্যাচে ২৮ ছয় নিয়ে হার্শেল গিবস আছেন পাঁচে, ২৭টি করে ছক্কা নিয়ে ছয় নম্বরে আছেন শচীন টেন্ডুলকার ও সনাথ জয়াসুরিয়া। টেন্ডুলকারের ওপেনিং সঙ্গী সৌরভ গাঙ্গুলী ২৫ ছক্কা নিয়ে আছেন সাতে। সেরা দশের বাকি তিনটি নাম অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, স্কট স্টাইরিস ও শেন ওয়াটসন।
আজকের ম্যাচের ৩ ছক্কাসহ বিশ্বকাপে ২৭ ম্যাচে মোট ৪০ ছয় হলো গেইলের। যাকে পেছনে ফেলেছেন গেইল, সেই ডি ভিলিয়ার্স ৩৭ ছয় মেরেছেন ২৩ ম্যাচে। সবচেয়ে বেশি ছয়ের তালিকায় গেইল-ডি ভিলিয়ার্স ছাড়াও নাম আছে আরও বেশ কয়েকজন মহারথীর। ৪৬ ম্যাচে ৩১ ছয় নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক রিকি পন্টিং। পরের স্থানে আছেন সাবেক কিউই অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ৩৪ ম্যাচে ২৯ ছয় নিয়ে তিনি আছেন চার নম্বরে।
রেকর্ডটি যে এ ম্যাচেই করে ফেলবেন, সে বিষয়ে সংশয় খুব কম জনেরই ছিল। কখন করবেন, অপেক্ষা ছিল সেটি নিয়েই। খুব বেশি সময় অপেক্ষায় রাখেননি ক্রিস গেইল, ইনিংসের চতুর্থ ওভারে হাসান আলীর বলটিকে লং অনের ওপর দিয়ে আছড়ে ফেলে রেকর্ডটিকে শুধুই নিজের করে নিলেন। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ছয়ের মালিক এখন ‘ইউনিভার্স বস’।
রেকর্ডটিতে আগেও তাঁর নাম ছিল, তবে সঙ্গে এবি ডি ভিলিয়ার্সও ছিলেন। আজ হাসান আলীকে মারা ছক্কায় ডি ভিলিয়ার্সকে পেছনে ফেলে এককভাবে চূড়ায় উঠে এলেন। রেকর্ডটি উদ্যাপন করা উচিত, এমনটা ভেবেই কি না, পরের বলেই হাসান আলীর মাথার ওপর দিয়ে হাঁকালেন আরেকটি ছয়। ৩৪ বলে ৫০ রানের ইনিংসে মোট ছয় হাঁকিয়েছেন ৩টি, সবচেয়ে বেশি ছয় মারার রেকর্ডে নিজেকে নিয়ে গেলেন ধরাছোঁয়ার আরেকটু বাইরে।